সরকারি নিয়ম মানছে না আল মানাহিল
২৭ অক্টোবর ২০২০ | ০৯:৩৯ | নিজস্ব প্রতিবেদকপব -০২
ক্রাইম প্রতিবেদক: ব্যারিস্টার সলিমুল হক খান পরিচালিত নার্চার জেনারেল হাসপাতাল এখন আল মানাহিল নার্চার জেনারেল হাসপাতাল । বিনামূল্যে পাওয়া এই হাসপাতাল রাতারাতি বিশাল আলিশান কর্মজজ্ঞ হয়ে উঠেছে।।
বিভিন্ন মানুষের দান অনুদান পরিচালিত করতে বসেছে হাসপাতাল । হাসপাতাল পরিচালনা করার জন্য জয়েন্ট স্টক কোম্পানির অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশে বেশির ভাগ হাসপাতাল পরিচালিত হচ্ছে কিন্ত আল মানাহিল এর তা কি আছে? তা এলাকাবাসীর প্রশ্ন, বিষয়টি প্রশাসন তদন্ত করুক।
করোনার চিকিৎসার নামে প্রতিষ্ঠিত হওয়া হাসপাতালে নানা অনিয়ম লেগেই আছে ।
নিয়ম অনুযায়ী যে কোন হাসপাতালে কর্মচারীর নিয়োগ পত্র থাকবে কিম্তু এই হাসপাতালে কোন ডাক্তার কিংবা নার্সের নিয়োগ পত্র নাই।
যখন যাকে খুশি বের করে দিচ্ছে। স্বেচ্ছারিতার আর এক নাম আল মানাহিল হাসপাতাল ।
যারা ডাক্তার আছেন তারা করোনা চিকিৎসায়ও অভিজ্ঞ নয়। মাত্র ৪ জন ডাক্তার দিয়ে এত বড় হাসপাতাল। তারা হলেন, ডা. আবু তাহের, ডা. অভিষেক , ডা. রিয়াজ উদ্দিন , ডা. তাবাসসুম ইভা। নিজস্ব কোন ডাক্তার নাই। বাহির থেকে কল করে ডাক্তার ডেকে এনে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয় বলে জানান এক নার্স।
যে সকল নার্সেরা চাকরি করে তাদের ডিউটির কোন টাইম টেবিল নাই। এক এক জন তিন চারটা হাসপাতালে চাকরি করেন।
ঠিক মত বেতন পরিশোধ করা হয়না। আয়া বা ক্লিনার দিয়ে নার্সের কাজ করানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে ।
হাসপাতালে যে সকল যন্ত্রপাতি থাকার কথা তার কোনটাই নাই এই হাসপাতালে।
উন্নত সেবা বলতে যা তার কোন কিছুই নাই এই হাসপাতালে। এতিম খানার মত বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলে আারাম আয়েশে চলছে পরিচালকেরা।
কে হাসপাতালের চেয়ারম্যান বা কে ব্যবস্থাপনা পরিচালক তার সুনির্দিষ্ট কোন কমিটির তালিকা সরকারের কাছে নাই।
করোনার নাম দিয়ে সাবেক পুলিশ কমিশনারকে সামনে রেখে যে অনুদানের টাকা কালেকশান করেছে তার সিকি পরিমাণ খরচ করেনি।
যেহেতু সরকারি কোন অডিট নাই যেভাবে পারে লোপাট করেছে।
করোনা হাসপাতাল চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের সাথে কোন যোগাযোগ নাই। এখানে যে সকল রোগী মারা গেছে তার কোন ডাটা সরকার জানে না।(চলবে)