রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডি, দুই ইসিকর্মী রিমান্ডে
২ ডিসেম্বর ২০১৯ | ২০:৫৩ | নিজস্ব প্রতিবেদকক্রাইম প্রতিবেদকঃ রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাইয়ে দেওয়ার মামলায় নির্বাচন কমিশনের দুই কর্মীকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। একদিন আগে আত্মসমর্পণের পর তাদের কারাগারে পাঠিয়েছিলেন আদালত। আজ সোমবার চট্টগ্রামের মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল আমীন মামলার তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। দুজন হলেন, ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইংয়ের প্রকল্পভিত্তিক কর্মচারী সাগর চৌধুরী ও সত্যসুন্দর দে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া বলেন, দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিলাম। আদালত সাতদিন মঞ্জুর করেছেন। এর আগে গত রোববার দুজন চট্টগ্রামের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওসমান গণি’র আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও এনআইডি পাইয়ে দেওয়ার কয়েকটি ঘটনা জানাজানির পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিনসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। বাকি দুজন হল, জয়নালের বন্ধু বিজয় দাশ ও তার বোন সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়া। জয়নালের হেফাজতে থাকা নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্সকৃত একটি ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়, যেটি বিজয় ও সীমার কাছে রেখেছিলেন জয়নাল। ওই ল্যাপটপের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের এনআইডি দেওয়া হত বলে অভিযোগ করা হয় জয়নালের বিরুদ্ধে। ওই রাতেই ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাগর ও সত্যসুন্দরকেও আসামি করা হয়। আটক জয়নালকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের মামলার আসামি করা হয়েছিল বলে এজাহারে উল্লেখ আছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। মামলায় সাগর ও সত্যসুন্দরসহ ১৩ জন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।